সাঈদ হাসান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড রহমানপুর জিমনাল এলাকায় ৮১৮ নং মেইন পিলার দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ভারতীয় বিএসএফ পুশইনের চেষ্টা করার সময় বাংলাদেশীদের সাথে বিএসএফের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বাংলাদেশীরা লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে বিএসএফ পিছু হটে তারা। এ সময় ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে হাত-পা বেঁধে সীমান্ত ফেলে রেখে যায় বিএসএফ সদস্যরা। অপরদিকে ভারতীয় সীমন্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষকের ছয়টি গরু ধরে নিয়ে যায়। বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, পাটগ্রাম উপজেলার রহমানপুর জীমনাল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এক মানসিক রোগীকে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা করে। এ সময় বাংলাদেশী গ্রামবাসীরা এগিয়ে গেলে বিএসএফের সাথে বাংলাদেশীদের ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। পরে বাংলাদেশীরা লাঠি হাতে নিয়ে ভারতীয় বিএসএফের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় বিএসএফ ওই মানসিক রোগীকে সীমান্তের শুন্যরেখায় হাত পা বেধেঁ ফেলে রেখে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশী ছয়টি গরু বাংলাদেশের অংশে বাঁধা থাকলে বিএসএফ তা ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। এরপর সীমান্ত জুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়।
রহমানপুর সীমান্তের বাসিন্দা তুহিন ইসলাম বলেন,বাংলাদেশের অংশে ছয়টি গরু ঘাস খাওয়ার জন্য বাঁধা থাকলে আমার গরুসহ বিএসএফ তা ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় বিজিবিকে জানানো হয়েছে।
সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএসএফ যাতে অবৈধভাবে পুশইন করতে না পারে সেজন্য লাঠি হাতে আমরা পাহারা বসিয়েছি। পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ভারতীয় বিএসএফ একজনকে পুশইন করার চেষ্টা করে। পরে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের হাত-পা বেঁধে সীমান্তে ফেলে রেখে যায় তারা। এসময় বিএসএফ সদস্যরা জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঢুকে ছয়টি গরু ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে তিস্তা ৬১ বিজিবির অধিনায়ক ভাইয়া লেফন্ট্যেন্ট কর্নেল মুসাহিদ মাসুমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।