
সুচন্দন সরকার(চন্দন),শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়া শাজাহানপুরে প্রীতিময় ভালোবাসায় দীর্ঘ ২৮ বছরের কর্মময় জীবন শেষে আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল বারীকে অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সহকর্মীসহ শিক্ষার্থীরা।চোখে জল নিয়ে মাদরাসা প্রাঙ্গণ থেকে অবসরে যান তিনি।সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে এই গুণী শিক্ষকের বিদায়ে মাদরাসার প্রাঙ্গণে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হাই সিদ্দিকী রনির সভাপতিত্বে বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক গভার্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আলতাব উদ্দিন।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা অধ্যক্ষ নজমল হক,উপাধক্ষ্য মাওলানা আব্দুল মমিন সহ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।মাদরাসার গভার্নিং বডির সভাপতি আব্দুল হাই বলেন,শিক্ষককে বিদায় জানানোর কিছু নেই। একজন শিক্ষক আজীবন জ্ঞান দান করে যান। তিনি ক্লাসের পড়ালেখার বাইরেও শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতা শিখিয়েছেন।সহকর্মী, অভিভাবক, আর প্রিয় শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় মুগ্ধ, বিদায়ী অধ্যাপক এ বি আব্দুল বারী, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন,আমি দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা করেছি।এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো,মাদরাসার উন্নয়নের জন্য আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।আমি চেষ্টা করেছি সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে। ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সবাই আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, তাতে আমি গর্বিত ও আনন্দিত।শিক্ষক, অভিভাবক শুধু নয়, প্রিয় হুজুরের বিদায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝেও ছিল বেদনা সুর।শিক্ষার্থী জানান,স্যার অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। ওনার কাছ থেকেই জীবনের ব্রতগুলো শেখা। সব সময় সন্তানের মতো স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছেন আমাদের।ইশামুনি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, স্যারকে আর ক্লাসে পাব না ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। সব কিছু খুব মিস করব। এমন শিক্ষকই আমাদের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।