প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ প্রিন্ট এর তারিখঃ বৃহস্পতিবার , ২২ মে, ২০২৫

রমেক হাসপাতালে চুক্তি ভিত্তিকদের অপকর্মের কমিশন নেয় ওয়ার্ড মাষ্টার

প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

তানভীর সোহেল, আঞ্চলিক প্রতিনিধি
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মচারীরা ডিউটি করলেই তার অপকর্মের কমিশন ভিত্তিক টাকা নেয় ওয়ার্ড মাষ্টার। অভিযোগ উঠেছে ৪০টি ওয়ার্ড ও আউটডোরসহ অপারেশন ওটিতে মিলে প্রায় একশত কর্মচারী কাজ করেন বিনা বেতনে।সচেতন মহলের প্রশ্ন,এসব বেতনহীন কর্মচারীরা বিলাস বহুল ভাবে জীবন যাপন করে কিভাবে, তাদের আয়ের উৎস কি।ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ এসব ওয়ার্ড মাষ্টারের সাথে চুক্তি করা একেকজন কর্মচারী বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধ দোকানদারদের দালালি করে অসহায় রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে দৈনিক হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা।সেই টাকা থেকে প্রত্যেকের কাছে কমিশন নেয় ওয়ার্ড মাষ্টার-হাসান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী প্রতিবেদককে বলেন, রমেক হাসপাতালে চুক্তি ভিত্তিকদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই কর্মচারীরা হয়ে যায় বেকার। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ওয়ার্ড মাষ্টার হাসান বনে যায় অঘোষিত ঠিকাদার। তিনি নিজের মনগড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লোকজন নিয়োগ দিয়ে দৈনন্দিন হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।তারা প্রতিবেদককে আরো বলেন,হাসান মাষ্টারকে
কমিশন না দিলেই ডিউটি বন্ধ করে অন্য কাউকে দেয় ডিউটি। শুধু তাই নয় ওষুধ বন্টনেও রয়েছে তার বড়ধরনের হাত। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ার্ড মাষ্টার হাসান প্রতিবেদককে বলেন, আমি কোনো অনিয়মের সাথে যুক্ত নই, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।এবিষয়ে জানতে উপ পরিচালক আখতারুজ্জামান এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।তবে ছুটিতে থাকা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আশিকুর রহমান এ সংক্রান্ত বিষয়ে মুঠো ফোনে জানান,কর্মস্থলে যোগদানের পর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আফফান হোসাইন আজমীর (ডিএমএফ), বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ এস,এম,সি রোড, গুপ্তপাড়া, রংপুর। mdaffanhossainazmir@gmail.com. যোগাযোগঃ ০১৭৬১৩৩২৩৬৭

প্রিন্ট করুন