
শিক্ষা যেখানে জাতির মেরুদণ্ড সেখানে রংপুর সদরে জুড়ে নেশায় আসক্ত বাড়ছে কমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের। জনসচেতনতার অবক্ষয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঠিক তদরকি না থাকার কারণেই কমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকের ভয়াবহতা। সদরের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশেপাশের জায়গায় ঘুরে দেখা যায় ৫ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী সিগারেট থেকে শুরু করে অন্যান্য নেশায় চরম পর্যায়ে আসক্ত। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ ছুটির পরপরই বিভিন্ন চায়ের দোকান ও টং এ খোলামেলা ভাবে সিগারেট ও বিভিন্ন জায়গায় সম্মিলিত ভাবে নির্দিধায় মাদক সেবন করছে যা সমাজের চোখে লজ্জাস্বকর বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের ক্যান্টিন ও নিকটবর্তী চায়ের দোকান, টং এবং আশে-পাশে বিভিন্ন মাদক-স্পট ঘুরে দেখা যায় ৭ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী লোকচক্ষুর আড়ালে সিগারেটে থেকে শুরু করে গাঁজা, ফেন্সিডিল ও ইয়াবার মত মরণব্যাধি নেশায় চরমভাবে আসক্ত। রংপুর সদরের পাগলাপীর এলাকার লেচু বাগান, তেলীপাড়া ক্যানেলের পার, হরকলী লেচুবাগান, নামাহাট সহ সদরের বিভিন্ন এলাকায়।এসব বিষয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন কমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক-গণ। পাগলাপীর স্কুলের ৮ম পড়ুয়া ছাত্রের অভিভাবক আলেফ উদ্দিন আরা বলেন ছেলেটা ভালোই ছিলো কিন্তু হঠাৎ করে তার চেহারার মাঝে পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে তার প্রতি এক্সট্রা নজরদারি রাখি। পরে খোঁজখবর নিয়ে শুনি সে মরণব্যাধি ইয়াবার নেশার আসক্ত। আর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সুজা মিয়া বলেন,আমার ছেলেকে প্রতিনিয়ত নেশার টাকা না দিলে সে বাসায় ভাঙ্গচুর করে। পরবর্তী তে আমি বাবা হয়ে সন্তানের ভবিষ্যত মঙ্গল ভেবে তাকে মানসিক নিরাময় কেন্দ্রে রাখি কিন্তু সেখান থেকে ফিরে কিছুদিন আলোর পথে থাকলেও পরবর্তী তে সে আবার ওই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ করেছে এলাকার সচেতন নাগরীকদের পক্ষে রোকন মিয়া নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগে উল্লেখ ছিল জুয়ার নেশায় পরে যুবসমাজ ধংশের দিকে ধাবিত হচ্ছে তাই প্রশাসনিক ভাবে সহায়তা চান তিনি জুয়ার আসর বন্ধের জন্য। পাগলাপীর এলাকার শিক্ষকেরা বলেন,পারিবারিক ও ইসলামিক নৈতিকতার চরম সচেতনতার অভাব এবং প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণেই এসব কমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে নেশার আগ্রহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রংপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোদক বলেন, আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যুব সমাজ কে মাদকের বহাল থাবা থেকে ফেরাতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি এবং জনসচেতনতা মূলক বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অব্যহত রেখেছি।