প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫ প্রিন্ট এর তারিখঃ বৃহস্পতিবার , ২২ মে, ২০২৫

ভাড়াটিয়া থেকে দোকানের মালিক বনে যাওয়া কে এই প্রতারক খলিল

প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে আর্বিভাব হওয়া কে এই ভিসা ও জাল সনদ,প্রতারক খলিল।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় খলিল তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা জদ্দিপাড়ার তোতা মিয়ার ছেলে প্রতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা না থাকায় এই খলিল গ্যাস লাইট থেকে শুরু করে রাইচ কুকার মেকারি ও এলাকাই মাইকিং করে জিবিকা নির্বাহ করতেন।হঠাৎ তার গোলায় সাংবাদিকের কার্ড ঝুলানো দেখে তারাগঞ্জ উপজেলায় তোলপার উঠেছে।এ ডিজিটাল যুগে ও কি! একাডেমিক কোনো সার্টিফিকিট না থাকলে ও সাংবাদিক হওয়া যায়।একই ইউনিয়নের কাঠ ব্যাবসায়ী সাদ্দাম হোসেন  বলেন,খলিল কে আমরা মেকার হিসাবে চিনি তাকে কখোনো আমরা স্কুলে যেতে দেখিনি। পড়াশুনা না করে সে কিভাবে মেকার থেকে সাংবাদিক বনে গেলেন এলাকাই এ নিয়ে তোলপারের সৃষ্টি হয়েছে।তারাগঞ্জ ও/এ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মার্কেটের একজন কম্পিউটার ব্যাবসায়ী শ্রী ভবেশ চন্দ্র বলেন,এই প্রতারক খলিলের বাবা আমার দোকানে দীর্ঘদিন থেকে ভাড়া রয়েছে। কিন্তু প্রতারক খলিল দোকানের নিজেকে মালিক দাবী করেছেন এবং সে নিজেকে সাংবাদিক দাবী করে আমাকে সমাজে হেও করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।এই খলিল আমার সাথে প্রতারনা করেছে, আমি নিরুপায় হয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি।আমি একজন সংখ্যালঘু হওয়ায় সে আমার দোকান ঘরটি জবরদখল করে আছে আমি দেশ বাসির কাছে বিচার চায়।একই ইউনিয়নের আবু সাঈদ জানান,প্রতারক খলিল আগে দিন আনি দিন খায়তো, হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কিশোরগঞ্জে তার যাতায়াত বেড়ে যায়।তারপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয় নি থাই লোটারী ও ভিসা প্রতারণার মাধ্যমে বনে গেছেন লাখপতি।এখন বছরে কয়েক বার এই প্রতারক তার বউ বাচ্চা সহ ঘুরতে যায় কক্সবাজার, বান্দরবান থেকে বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটে। তার এ বিলাসী চলাফেরার টাকার উৎস কোথায় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংবাদিক বলেন, সে বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে জাল এস,এস,সি সার্টিফিকিট দিয়ে প্রতিনিধি নিয়োগ নিয়ে প্রতারণা করেছেন।প্রকৃতপক্ষে তদন্ত করলে দেখা যাবে সে ৮ম শ্রেণী ও পাস করেনি,তাই তার জাল সনদ,ও তার বিলাসী চলাফিরার টাকার উৎস তদন্ত করে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। যাতে করে লেখাপড়া ছাড়া যে সাংবাদিকতা করা যায় না তা প্রমানিত হয়, এতে করে পেশাদার সাংবাদিকদের সন্মান রক্ষা হবে।তারাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খবির মিয়া জানান খলিল প্রেসক্লাবের সদস্য নয়।প্রেসক্লাবের সকল সদস্যদের একাডেমি শিক্ষা যোগ্যতা রয়েছে। এই খলিলের বিরুদ্ধে দোকান দখলের অভিযোগ করেছেন একজন সংখ্যালঘু শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায় আমি শুনেছি। আমি তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবী জানাচ্ছি।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আফফান হোসাইন আজমীর (ডিএমএফ), বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ এস,এম,সি রোড, গুপ্তপাড়া, রংপুর। mdaffanhossainazmir@gmail.com. যোগাযোগঃ ০১৭৬১৩৩২৩৬৭

প্রিন্ট করুন