
পারভেজ গাদ্দাফী,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাই গান্ধী আশ্রম(খাদি প্রতিষ্ঠানে) বুধবার ১২ মার্চ পরিদর্শন করেন ভারতীয় সহকারী কমিশনার মনোজ কুমার।তিনি সকাল এগারোটায় গান্ধী আশ্রমে পৌছালে তাকে ফুল দিয়ে বরন করেন গান্ধী আশ্রম কমিটির সভাপতি সাবেক প্রভাষক আমিনুল ইসলাম ও আত্রাই মোল্লা আজাদ সরকারি কলেজের প্রফেসর মতিউর রহমান।
মনোজ কুমার পায়ে হেঁটে গান্ধী আশ্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন কমিটির সদস্যবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ। তিনি মহাত্মা গান্ধীর ঘর,পিসি রায়ের ঘর, একশো বছরের পুরাতন মাটির তৈরী তৈজসপত্র,পুরাতন কুয়ার আবস্থান,রিলিফ বন্টনের ঘর,রেশম চাষের জমি,পুকুর পরিদর্শন করে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি গান্ধী আশ্রমের সকল জিনিসপত্র রক্ষণাবেক্ষণ জন্য কমিটির নিকট ও সকল এলাকাবাসীর নিকট ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ব্রিটিশ আইনজীবী অন্যতম ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। এছাড়াও তিঁনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। যার মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণ তাদের অভিমত প্রকাশ করে। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর ভিত্তি করে এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি। ব্রিটিশদের পণ্য বর্জন ও নিজেদের তৈরি কাপড় ব্যবহারের প্রতি তিনি সর্বপ্রথম ঘোষণা দেন। তিঁনি সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।
মহাত্মা গান্ধী সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ, জাতির অর্থনৈতিক সচ্ছলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার শুরু করেন। কিন্তু এর সবগুলোই ছিল স্বরাজ অর্থাৎ ভারতকে বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে।