প্রকাশের সময়: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫ প্রিন্ট এর তারিখঃ শুক্রবার , ১১ জুলাই, ২০২৫

নগরীতে ব্রীজের মুখ বন্ধ করে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন বর্ষায় অর্ধ লক্ষ পরিবারের ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা

প্রকাশের সময়: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

তানভীর সোহেল,আঞ্চলিক প্রতিনিধি
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা গনেশপুর-বাবুখাঁ-কামারপাড়া আদর্শপাড়াসহ হাজিপাড়া এলাকায় বসবাসরত প্রায় অর্ধলক্ষ পরিবারের পানি- শ্যামাসুন্দরী ক্যানেলে নিস্কাশনের অন্যতম মাষ্টার ড্রেন এর মুখবন্ধ করে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন।এতে এই এলাকাগুলোতে চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ সিটি কর্পোরেশন এর সম্পত্তি শাখার লোকজনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেয়া হয়েছে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন।এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার(৯ মার্চ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, নগরীর মুলাটোল আলিয়া মাদ্রাসার পুর্ব দিকে প্রধান সড়ক ঘেঁষে বহমান মাষ্টার ড্রেনের পানি শ্যামাসুন্দরী ক্যানেলে নিস্কাশনের জন্য কয়েক দশক আগে ব্রীজ নির্মাণ করেন তৎকালীন রংপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।সম্প্রতি প্রায় একমাস ধরে প্রাচীন এই ব্রীজের মুখ বন্ধ করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন রংপুর সিভিল সার্জন হিসাব রক্ষক নুরুজ্জামান হক।স্থানীয়দের অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এই ভবন নির্মাণ হলে চলতি বছরের বর্ষাকালে এলাকার লোকজন ভাসবে ভয়াবহ পানিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, এই জমিটি কখনো ব্যক্তি মালিকানা হতে পারে না। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এই ব্রীজের নিচে দিয়ে শ্যামাসুন্দরী ক্যানেলে পানি নিস্কাশন হয়ে আসছে। হঠাৎ নুরুজ্জামান কিভাবে ওই ক্যানেলের (ধর) এর মালিক হয় তা নিয়েও রয়েছে নানান প্রশ্ন। এবিষয়ে সচেতন মহল নুরুজ্জামানকে দেখছেন বাঁকা চোখে।তবে এবিষয়ে জমির মালিকানা দাবিদার নুরুজ্জামান হক প্রতিবেদক বলেন, ১৯৯৭সালে জমির মালিক আব্দুল্লাহ আল কাফীর নিকট আমার স্ত্রী লুফুরা বেগম (২.৫০) আড়াই শতক জমি ক্রয় করে। এবং খাজনা খারিজ করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে বাড়ির নকসা অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করতেছি। আমি লিগ্যাল আছি। প্রাচীনতম এই ব্রীজের নিচ দিয়ে কয়েক যুগ থেকে পানি নিস্কাশন হয়ে আসছে জেনেও কিভাবে ওই জমি ক্রয় করলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অকপটে এড়িয়ে যান।এবং হুমকি স্বরূপ বলেন,কার কি করার আছে দেখবো!এবিষয়ে সাবেক প্যানেল মেয়র, মাহাবুবার রহমান মঞ্জু প্রতিবেদককে বলেন,এখন সিটি কর্পোরেশন দেখভাল করার মতো দায়িত্ববান কেউ নেই,সেই সুযোগটাই নিয়েছে নুরুজ্জামান। তিনি আরো বলেন,অতিশীঘ্রই এই ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই-বাছাই করার পর,ওই জমি যদি ব্যক্তি মালিকানা হয়,তাহলে সিটি কর্পোরেশন এর উচিত জমিটি অধিগ্রহণ করে পুনরায় ড্রেনেজ এর মুখ সচল করা।এদিকে প্রায় অর্ধলক্ষ পরিবারের সদস্যদের পানি নিস্কাশনের মাষ্টার ড্রেনের জমিতে কিভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের নকসা অনুমোদন দেয়,সে বিষয় সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কানিজ ফাতেমা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আফফান হোসাইন আজমীর (ডিএমএফ), বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ এস,এম,সি রোড, গুপ্তপাড়া, রংপুর। mdaffanhossainazmir@gmail.com. যোগাযোগঃ ০১৭৬১৩৩২৩৬৭

প্রিন্ট করুন