
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। চাঁদা বাজি, বাজার দখলসহ তারা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এবারে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে বালুবাহীট্রাক আটকিয়ে চাদাঁবাজির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে গত ২১ শে ফেব্রুয়ারির গভীর রাতে বালুবাহী ট্রাক আটকিয়ে চাদাঁ বাজি করেছেন গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ছোবহান মিয়া ও সদস্য বদরুজ্জামান সহ অজ্ঞাত আরো ১০থেকে ১২ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যরা। এ সময় চালকদের কাছ থেকে টাকা সহ মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে,স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক প্রসাশনকে অবগত করলে পুলিশের একটি টহলগাড়ী এবং একটি সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে বালুবাহী ট্রাকগুলো উদ্ধার করেন। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপির নেতা কর্মীরা দ্রুত সটকে পড়েন।
নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান.
ছোবহান এবং বদরুজ্জামান তাদের কিছু সদস্য নিয়ে গভীর রাতে বালুবাহী ট্রাক থামিয়ে চাদা বাজি করেছে।চাদাবাজির প্রক্কালে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান তারা। এই সকল চাদা বাজদের দল থেকে বহিস্কারসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানান, পদে থাকা ছোবহান এবং সদস্য বদরুজ্জামান দীর্ঘদিন থেকে এই সকল চাদাঁবাজির সাথে জড়িত। এরা অনেক সময় বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে নিরীহ মানুষের বসতভিটা ও দখলে নিয়ে নিয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিচুর রহমান লাকু জানান, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত ছোবহান ও বদরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান,সেদিন ওখানে কোন চাদা দাবি করিনি। ওখানে তো ট্রাক ও মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সকল নেতা কর্মীরা গিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছি। এখন মানুষ দোষারোপ করলে কী আর করার!
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ওসি জানান,ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি দহলগাড়ী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে কেউ না থাকায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি।