প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ২৪ মে, ২০২৫

রংপুরে তিন দিবস ঘিরে ২ কোটি টাকার গোলাপ বিক্রির আশা

প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

তানভীর সোহেল,আঞ্চলিক প্রতিনিধি
পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে রংপুরের ফুলচাষিরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রংপুরে ফুলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। চলতি বছরে তিন দিবসকে ঘিরে রংপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তর ২ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য-মাত্রার কথা জানিয়েছে। তবে গোলাপ চাষিরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় ফুলের দাম কম।সরেজমিনে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নজীরেরহাট, কাউনিয়া,তারাগঞ্জ,মিঠাপুকুর সহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে গোলাপ, জারবেরা, রজনীগন্ধা,মামফুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের আবাদ করতে দেখা যায়।বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জেলার সদর,কাউনিয়া,মিঠাপুকুর,তারাগঞ্জ,পীরগাছা,পীরগঞ্জ সহ রংপুর সিটি কর্পোরেশন জুড়ে ফুল চাষিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়,জেলা কৃষি অধিদপ্তরের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার মতো ফুলের উৎপাদন হয়েছে চলতি বছরে। কিন্তু গত বছর ফুলের উৎপাদন ভালো না হলেও দাম ভালো ছিল। এ বছরে ফুলের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম বলে হতাশার কথা জানায় গোলাপ চাষিরা।সাতমাথা এলাকার গোলাপ চাষি মন্টু মিয়া বলেন, দোআঁশ মাটিতে মেরেন্ডা জাতের গোলাপের চাষাবাদ করা হয়। উর্বর ও নিষ্কাশিত জমিতে গোলাপ চারা রোপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ফুলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নজীরেরহাট এলাকার ফুলচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা সারা বছর লাখ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন আমাদের জান বাঁচে না। এখন আমরা একটি ফুল পাইকারী ১৫-২০ টাকা বিক্রি করবো। কিন্তু এখন এক টাকা দেড় টাকা দাম।অপর ফুলচাষি সোলাইমান বলেন, এ বছর ফুলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। গত বছর ফুল ছিল না কিন্তু বাজারে দাম ছিল ভালো। গত বছরের এই দিনে ফুলের দাম ছিল পাইকারী ১০-১২ টাকা। কিন্তু এখন আমরা ফুল বিক্রি করছি ৫-৬ টাকা দরে। এ বছর ফুলের উৎপাদন হয়েছে প্রচুর এবং বাগান ভালো আছে, তাই ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর বাগান ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফুলের উৎপাদন কম হয়েছিল। তাই দাম বেশি ছিল। তবে তিন দিবসকে ঘিরে দাম ঠিক থাকলে লাভের আশা করছেন তিনি।অন্যদিকে রংপুরে গোলাপ গ্রাম খ্যাত নজীরেরহাট জনতা নার্সারির বাগানে প্রতিদিনই ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। মনোমুগ্ধকর পরিবেশে ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে প্রিয়জনদের হাতে তুলে দেন বাগানের তরতাজা গোলাপ।রংপুর ঘাঘট সেনা প্রয়াসে ঘুরতে আসা মেহেবুব পারভেজ সুমন বলেন, লোকমুখে শুনেছি ও ইউটিউবে দেখেছি এখানে আসলে অনেক ভালো লাগে। এতো এতো ফুলের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা যায়। চারদিকে অনেক মানুষ দেখে ভালো লাগছে। গোলাপ গ্রামটি অনেক সুন্দর।রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, জেলায় প্রায় ২৯৫ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের গোলাপের ফলন ভালো হয়েছে। তিন দিবস ঘিরে এ বছর গোলাপচাষিদের লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আফফান হোসাইন আজমীর (ডিএমএফ), বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ এস,এম,সি রোড, গুপ্তপাড়া, রংপুর। mdaffanhossainazmir@gmail.com. যোগাযোগঃ ০১৭৬১৩৩২৩৬৭

প্রিন্ট করুন