প্রকাশের সময়: শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার , ২৫ মে, ২০২৫

রংপুর নগরীতে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ করছে আয়নালের প্লাস্টিক কারখানা

প্রকাশের সময়: শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

তানভীর সোহেল,আঞ্চলিক প্রতিনিধি
রংপুর নগরীর সাত মাথা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্লাস্টিক ও পলিথিন রিসাইক্লিং কারখানা। মহানগরীর সাত-মাথা নাসনিয়া” নামক এলাকায় গড়ে ওঠা এই কারখানায় শিশু-কিশোর শ্রমিক দিয়ে মরনব্যাধী জীবাণুযুক্ত বর্জ পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ২৫শে জানুয়ারি শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে সিটি কর্পোরেশনের সাতমাথা মোড় সংলগ্ন পেট্রোল পাম্পের ঠিক বিপরীতে সড়ক ঘেঁষে কারখানাটির সাইনবোর্ড ঝুলছে। সেখানে লেখা ‘আয়নাল প্লাস্টিক ফ্যাক্টরি’। ভেতরে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। রিসাইক্লিংয়ের জন্য রোদে শুকাতে দেওয়া ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে পলিথিনগুলো কয়েকজন মিলে বাছাই করছেন।

প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়,ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য ফেন্সিডিলের হাজারো বোতল।যা একইবারে অবৈধ এবং রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম।

সামান্য বাতাস হলেই এসব পলিথিন উড়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী এলাকায়, এতে ফসলি জমির ফলন নষ্ট হচ্ছে ব্যপক ভাবে। এছাড়াও প্লাস্টিক মবিল লৌহ সরঞ্জামসহ বিভিন্ন মেটালের পন্য পুড়িয়ে ভয়াবহভাবে পরিবেশ দূষণ করছে আয়নাল নামের এই ভাঙ্গারী প্রতিষ্ঠান।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঐ কারখানায় কর্মরত একাধিক শ্রমিক জানান, রংপুর সিটি কর্পোরেশন ৭ মাথা পেট্রোল পাম্পের বিপরীতে চাতাল ভাড়া নিয়ে আয়নাল হক নামে এক ব্যবসায়ী তার নিজ নামে শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।এসময় ২-১ জন শ্রমিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, কত বড় বড় সরকারি কর্মকর্তা আসে,তারা আসে চা খায় এবং মিষ্টি মুখের নামে উৎকোচ নিয়ে চলে যায়।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হারুনুর রশিদ দৈনিক খবরের আলো পত্রিকা-কে বলেন, ‘কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। কারখানা মালিক সম্পদশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পায় না। এ কারণে তিনি অবৈধভাবে কারখানাটির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত এটি বন্ধ করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সবুজ আন্দোলন’ রংপুর জেলার সভাপতি গোলাম রব্বানী দুলাল দৈনিক খবরের আলো পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি বিধি-নিষেধ না মেনেই গড়ে ওঠা কারখানাটিতে প্লাস্টিক ও পলিথিন উৎপাদন হওয়ায় সেখানকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই জনস্বার্থে অবৈধ কারখানাটি বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।’

রংপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ বাদশা মাসউদ আলম দৈনিক খবরের আলো পত্রিকাকে বলেন, ‘ঐ প্রতিষ্ঠানের নামে কোনা ফায়ার লাইসেন্সের আবেদন নেই বলে তিনি জানান। তিনি আরোও বলেন নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে থাকলে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে আয়নাল প্লাস্টিক কারখানার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই কথা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর উপ পরিচালক কমল কুমার বর্মন, তিনি প্রতিবেদককে জানান, আমরা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় যথাযথ ভাবে কাজ করছি, আয়নালের প্রতিষ্ঠানের খবর আমাদের জানা ছিলোনা, বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আফফান হোসাইন আজমীর (ডিএমএফ), বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ এস,এম,সি রোড, গুপ্তপাড়া, রংপুর। mdaffanhossainazmir@gmail.com. যোগাযোগঃ ০১৭৬১৩৩২৩৬৭

প্রিন্ট করুন