
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নে অবৈধভাবে সেচ মটরের বোরিং করার সময় মাথায় লোহার পাইপ পড়ে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম সাইদুর রহমান (৪৫), তিনি উপজেলার অমৃতপুর গ্রামের মৃত ছবের আলীর পুত্র। সাইদুর তিন সন্তানের জনক ছিলেন।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সেচ মটর বসিয়ে আসছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে কলমা ইউনিয়নের একটি ফাঁকা জায়গায় আবু সাঈদের নির্দেশে সেচ মটরের বোরিং কাজ চলছিল। কাজের একপর্যায়ে ভারী লোহার পাইপ উপরে তোলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি সাইদুর রহমানের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পরপরই পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা
দুর্ঘটনার পরপরই আবু সাঈদ ও তার পুত্র নিজেদের মুঠোফোন বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করেছেন, আবু সাঈদ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সেচ মটর বসিয়ে আসছিলেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, যদি প্রশাসন আগে থেকেই অবৈধ বোরিং বন্ধে ব্যবস্থা নিত, তাহলে হয়তো এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো না।এ বিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি, তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
নিহত সাইদুর রহমানের স্ত্রী ও সন্তানেরা এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। তারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিকরা প্রশাসনের কাছে আবু সাঈদসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।