প্রকাশের সময়: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার , ২৬ মে, ২০২৫

ঝিনাইদহে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, বাড়ি ঘর ভাংচুর,আহত ৪০

প্রকাশের সময়: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

শহিদুজ্জামান বাবু,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে কমপক্ষে ১০টি বাড়ি-ঘর। রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া যুব মিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উপজেলা জামায়াতের আমির মতিউর রহমান ও বিএনপির সামাজিক মাতব্বর নওশের আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কমিটির আহবায়ক প্রার্থী ছিলেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান ও বিএনপি নেতা নওশের আলীর মেয়ে নুরজাহান। রোববার সকালে কমিটি গঠন করা নিয়ে বিদ্যালয়টিতে আলোচনা চলছিল। এসময় নাম প্রস্তাব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে সেকেন্দার, আলীম, শাওন, সাহেব, বাচ্চু, ওমর ফারুক, আনোয়ার, তানভীর, মাসুদ রানা, রবিউল, রফিকুল, শাহিদুল, আমদ আলি, মান্নান, রবি, সামসুদ্দিন, আলমগীর, আরাফাত, ফয়েজ, রোজদার, সাদ্দাম হোসেন, মনিরুল, মিরাজ, রাকিবুল, রিপন, সুরুজ, সোহেল, রবি, রুদ্র, শাহীন, কলিমুদ্দিন, মেহেদী, রতন, মহিরুদ্দিন সহ উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয় অন্তত ১০টি বাড়িঘর ও দোকানপাট। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।বিএনপির নেতা নওশের আলী বলেন, ‘নাদপাড়া এলাকায় একটি মাদরাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আমার মেয়েকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমানকে মাদরাসার সভাপতি হওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দেন। অথচ তিনি তা না মেনে রোববার মিটিংয়ে লোকজন নিয়ে এসে আমার সমর্থকদের মারধর করেন। পরে অন্যরা খবর পেয়ে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আমার ২৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে।’শৈলকুপা উপজেলা জামায়াতের আমির মতিউর রহমান বলেন, ‘কমিটি গঠন করা নিয়ে বিদ্যালয়ে আলোচনা চলছিল। আমরা সেখানে যাওয়ায় তারাই আমাদের মারধর করেন। আমারও ১৫/২০ জন সমর্থক আহত হয়েছে।’শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোনিয়া আক্তার মুক্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।’শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় আবার সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আফফান হোসাইন আজমীর (ডিএমএফ), বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ এস,এম,সি রোড, গুপ্তপাড়া, রংপুর। mdaffanhossainazmir@gmail.com. যোগাযোগঃ ০১৭৬১৩৩২৩৬৭

প্রিন্ট করুন