
সাঈদ হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা, ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপির আরো দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮ জনকে। সোমবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম (৪৫) ও দহগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মতিয়ার রহমাকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।এদিকে পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের নেতারা ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশি অভিযানে নেতাকর্মীদের এভাবে গ্রেফতারের কারণে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সপিকার রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখেন, অবিলম্বে নিরপরাধ নাগরিকদের রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া পুলিশের দ্বায়িত্ব। কিন্ত তার আড়ালে নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার বা হেনস্তা করা হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।গত বুধবার (২ জুলাই) রাতে পাটগ্রাম থানা ও হাতীবান্ধা থানা ঘেরাও ও ভাঙচুরের ঘটনায় লালমনিরহাট জেলাসহ সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সুশীল সমাজসহ সচেতন মানুষ এই ঘটনাটিকে ন্যাক্কারজনক মনে করলেও এই ঘটনাটিকে পুঁজি করে নিরপরাধ কেউ যেন পুলিশের হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সবার নজর দেয়ার দাবি তোলেন। থানায় হামলার সময় উশৃঙ্খল জনতা সোহেল ও বেলাল নামে দু’জন পাথর কোয়ারিকর্মীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই দুজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও উত্তম কুমার দাশ এক মাসের কারাদণ্ড দেন।এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতসহ ২৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।