1. admin@alokitopotrika.com : alokitopotrika_560 :
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিবগঞ্জে সামাজিক সংগঠন ‘আপন’ এর উদ্যোগে মৌসুমি ফল উৎসব অনুষ্ঠিত কাউনিয়ায় নবাগত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে শিক্ষকদের সৌজন্যে সাক্ষাত নওগাঁতে ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যান ট্রাস্টের সদস্যদের প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত কাউনিয়ায় শহীদবাগ স্কুল এন্ড কলেজের এডহক কমিটির পরিচিতি সভা পাটগ্রাম সীমান্তে পুশইনের চেষ্টা বিএসএফের বাধা বিজিবির ঝিনাইদহে জমাজমি বিরোধে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে বৃদ্ধের মৃত্যু চাটমোহরে ৩ যুবতীর আত্মহত্যার চেষ্টা।। একজনের মৃত্যু গাইবান্ধায় তিনটি কারখানায় যৌথবাহিনীর অভিযানে নকল শিশু খাদ্য সহ সরঞ্জাম উদ্ধার নন্দীগ্রামে দূর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন এর “স্বপ্ন “প্রকল্পের উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটি ( ইডিসি) মিটিং অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে প্রায় ৪৫০ বছরের প্রাচীন কেল্লাপোশী মেলা ঐতিহ্য হারাতে বসেছে

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ৪৮ বার পাঠ করা হয়েছে

মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন জিহাদ,নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধিঃ
প্রায় ৪৫০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে জমজমাটভাবে শুরু হয়েছে বগুড়া শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী কেল্লাপোশী মেলা। মেলাকে ঘিরে ৭দিন ধরে চলছে প্রস্তুতি। তিথি অনুযায়ী প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় রবিবার থেকে শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের কেল্লাপোশী নামক স্থানে বসে এ মেলা। কালের আবর্তে মেলার সেই শক্তি ও জৌলুস অনেকটাই হারিয়ে গেছে। তবুও মেলাকে ঘিরে মেয়ে জামাইদের আনন্দ কমতি নেই। এ মেলাটি স্থানীয়দের ভাষায় বলা হয় ‘জামাইবরণ’ মেলা। তবে এখন আগের মতো আর নেই আনন্দ উল্লাস বেশি।
কথিত আছে, ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এ মেলা হয়ে আসছে।
জানা যায়, বৈরাগ নগরের বাদশা সেকেন্দারের একজন ঔরসজাত এবং একজন দত্তক ছেলে ছিলেন। ঔরসজাত ছেলের নাম ছিল গাজী মিয়া আর দত্তক ছেলের নাম কালু মিয়া। গাজী মিয়া দেখতে খুবই সুদর্শন ছিলেন। তারা রাজ্যের মায়া ত্যাগ করে ফকির সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে ঘুরতে ঘুরতে ব্রাহ্মণ নগরে আসেন। সেখানে ব্রাহ্মণ রাজমুকুটের একমাত্র কন্যা চম্পা গাজীকে দেখে মুগ্ধ হন। একপর্যায়ে তারা দু’জন দু’জনকে ভালবেসে ফেলেন। পালিত ভাই কালু মিয়া বিষয়টি জানতে পেরে গাজীর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মুকুট রাজার নিকট যান। মুকুট রাজা ফকিরবেশী যুবকের এরূপ স্পর্ধা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বন্দী করেন। এতে গাজী মিয়া কঠিন আঘাত পান। তিনি মুকুট রাজার নিকট থেকে ভাই কালু মিয়াকে উদ্ধারের জন্য কেল্লাপোষী নামক একটি দূর্গ নির্মাণ করেন। পরে রাজার সঙ্গে যুদ্ধ করে ভাইকে উদ্ধার এবং তার কন্যাকে বিয়ে করেন। ওই সময় গাজীর বিয়ে উপলক্ষে কেল্লাপোশী দূর্গে নিশান উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী আনন্দ উৎসব করা হয়। গাজী মিয়ার সেই বিজয়কে ধরে রাখার জন্যই কেল্লাপোশীর মেলার আয়োজন করা হয়। আর তিথি অনুযায়ি ওই বিয়ের দিনটি ছিল জৈষ্ঠের দ্বিতীয় রবিবার। সেই থেকে প্রতি বছর তিন দিনব্যাপি এ জামাইবরণ মেলা বসে। মেলা রিতি অনুযায়ী রবিবার শুরু হলেও শেষ হবে বুধবার, আর কাঠের মেলা চলছে চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
নানা আয়োজনঃ- মেলার এক সপ্তাহ আগে থেকে মেয়ে-জামাইকে দাওয়াত করে মেলার কয়দিন মেয়ে-জামাইকে নানা উপহার, সেলামি দেওয়া ছাড়াও সব ধরণের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। সেই সেলামিসহ জামাই নিজের গচ্ছিত টাকা দিয়ে মেলা থেকে খাসি, বড় বড় মাছ, মহিষের মাংস, মাটির পাতিল ভর্তি মিষ্টান্ন ও রকমারি খেলনা কিনে আনবে। এ ছাড়া শ্যালক-শালিকাদের নিয়ে সারাদিন মেলায় ঘুরে বেড়াবেন তারা। মেলাকে ঘিরে থাকে সার্কাস, নাগোরদোলা, হুন্ডা, যাদু, পতুল নাচ খেলা দেখিয়ে দিনব্যাপি আনন্দ শেষে ছাতা, ছোটদের কাঠের ও ঝিনুকের তৈরি খেলনাসামগ্রী নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরবেন। এছাড়া মাদার খেলা, লাঠিখেলা, যাত্রার অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024