1. admin@alokitopotrika.com : alokitopotrika_560 :
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দেড় যুগ পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার আইন ফুলছড়িতে শৃংখলা কমিটির সভা শেষে ৬ ইউপি চেয়ারম্যান আটক প্রবাসীর ভালোবাসায় মানবিক উদ্যোগ—গাবতলীর দক্ষিণপাড়ায় দুস্থদের মাঝে টিন বিতরণ পীরগাছায় পানি নিষ্কাশনের জায়গা প্রশস্ত না থাকায় তলিয়ে গেছে চার একর জমির আবাদি ফসল আখাউড়ায় এমসি বাণিজ্যের দায়ে, হাসপাতালে মালি সোহেল মিয়া বদলী, ভুক্তভোগী হেলাল মিয়া! কাউনিয়ায় বিদেশ ফেরতদের পুনরেকএীকরণ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা আটঘরিয়ায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুই মামলা; গ্রেপ্তার নেই তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে গংগাচড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ১৩ বছর বয়সী শরিফুলের অভাবনীয় সাফল্য: মাত্র ৬ মাসে পূর্ণ কুরআন হিফজ পীরগাছায় ছাত্রদলের প্রস্তুতি সভা

তানোরে শতবর্ষ পুরোনো হিন্দুসম্প্রদায়ের শ্মশানের বেহাল দশা বর্ষার আগেই সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে গ্রামবাসীর আহ্বান

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৩ বার পাঠ করা হয়েছে

হামিদুর রহমান, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার অন্তর্গত হালদারপাড়া ও গোল্লাপাড়া গ্রামের শত বছরের পুরনো হিন্দু শ্মশান আজ চরম অব্যবস্থাপনার শিকার। শ্মশানের পাশেই সরকারি খাদ্য গুদামের (গোডাউন) সন্নিকটে এই স্থানটি একসময় এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে সেটি পরিণত হয়েছে চরম সংকটপূর্ণ ও অসম্মানজনক পরিবেশে। প্রতিদিনের মতো এখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন যখন প্রিয়জনকে শেষ বিদায় জানান, তখন তারা সম্মানের সঙ্গে একটি শান্তিপূর্ণ ও পরিপাটি স্থান প্রত্যাশা করেন। কিন্তু শ্মশানের পাশেই বড়সড় ড্রেন থাকায় প্রতি বর্ষায় ভাঙন দেখা দেয়। মাটি ধসে পড়ে চারপাশের কবরসমূহ প্রায় বিলীন হয়ে যায়। সংকীর্ণ জায়গার কারণে একটি কবরের ওপর আরেকটি কবর খুঁড়ে মৃতদেহ দাফন করা হচ্ছে। ফলত, পিতা-মাতা কিংবা পূর্বপুরুষদের কবরের কোনো চিহ্ন থাকছে না—এটি তাদের হৃদয়বিদারক কষ্টের অন্যতম কারণ। গ্রামবাসীর পক্ষে মনোতোস,মনোহরি ও বিশু স্বর্ণকারসহ স্থানীয় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষজন জানিয়েছেন, এই শ্মশানে একাধিক গুণীজন, শিক্ষাবিদ, এমনকি সাবেক প্রিন্সিপালদেরও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সেই মর্যাদার স্থান আজ অবহেলার চূড়ান্ত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা জানিয়েছেন, অবিলম্বে শ্মশানের চারপাশে মজবুত পাঁচিল নির্মাণ না করলে বর্ষায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।এই পরিস্থিতিতে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন গ্রামবাসীরা। তারা অনুরোধ জানিয়েছেন, বর্ষার আগেই জরুরি ভিত্তিতে এই শ্মশানটির সংস্কার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক। শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের নয়, এটি মানবিক ও নৈতিক দায়িত্বও বটে। শ্মশানটি শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি গ্রামবাসীর অনুরোধ—এই বেহাল দশা থেকে মুক্ত করে শ্মশানটিকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনা হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024