রংপুরের মিঠাপুকুরে আক্তারুল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাক্তি একাই করেছেন প্রায় ১৮ টির বেশি অভিযোগ। এছাড়াও করেছেন প্রায় হাফ ডজন খানেক মামলা। তার মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন, পরিবার পরিজন, আত্বীয় স্বজন ও এলাকাবাসী।মামলাবাজ আক্তারুল উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের জারুল্যাপুর (গাড়িয়ালপাড়া) এলাকার মৃত আকবার আলীর পুত্র।জানা যায়, আক্তারুলের নিজের বড় ৪ ভাই, ভাইয়ের বউ, ভাইয়ের সালি, নিজের ভাতিজা সহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করে । তার এমন মিথ্যা মামলা ও অভিযোগে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসী। এমনকি মামলাবাজ আক্তারুলের অতিষ্ঠে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার নিজের ভাতিজা ছাব্বির রহমান।অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, বিবাদী আক্তারুল আক্রোশ করে ২০০৯ সাল হইতে অদ্যবধি পর্যন্ত ছাব্বিরের বাবা-মা, চাচা-চাচী, জ্যাঠা, খালা সহ পরিবারের বিভিন্ন লোকজনের নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়াও মিঠাপুকুর থানা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৮ টিরও বেশী মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করে হয়রানী করে। যাহা অদ্যবধি পর্যন্ত চলমান আছে। উল্লেখ্য যে, আক্তারুলের দায়েরকৃত ৪টি মিথ্যা মামলায় ছাব্বিরের পরিবারের সদস্যরা আদালত থেকে নিঃশর্তে মুক্তি লাভ করেন। অতঃপর ছাব্বিরের পিতার মৃত্যুর পর উক্ত বিবাদী ছাব্বিরের নামে এখন পর্যন্ত মিঠাপুকুর থানায় ৩টি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করিয়া হয়রানি করে । এমতাবস্থায় বিবাদী আক্তারুল ইসলাম ছাব্বিরকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ মিথ্যা মামলা দায়ের করিবে বলিয়া প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে। এমনকি বিবাদী আক্তারুল সুযোগ মতো একা পাইলে ছাব্বিরের প্রাণ নাশ করিবে বলিয়া হুমকি দেয়।ছাব্বির বলেন, এই অভিযোগ আর মামলার কারণে আমার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে । সামনে আমার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা। আমি চাই আমাদের নামে যেন আর কোন মিথ্যা মামলা না হয়। আমরা একটু শান্তিতে বেঁচে থাকতে চাই!আক্তারুলের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি আক্তারুলের নিজের বড়ভাই হওয়া সত্ত্বেও আমার নামে সে ও তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং আমি সহ আমার আরো ২ ভাইকে জেলে পর্যন্ত যেতে হয় । পরবর্তীতে আমরা আদালত থেকে বেকসুর খালাস পাই। তাকে বুঝাতে গেলেও সে আমাদের প্রকাশ্যে হুমকি দেয় । আমাদের মামলার ভয় দেখায়। আমাদের বলে, আমি থানা পুলিশ কে পরোয়া করিনা, তারা টাকার গোলাম, আমি তোমাদের সবাইকে নিঃস্ব করেই ছাড়বো, আমি মামলা কেও ভয় করিনা।খোড়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, আক্তারুলের বিষয়ে একাধিকবার পরিষদে বিচার হলেও আক্তারুল বিচার অমান্য করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের জেলে পাঠায়। আমি পরবর্তীতে তাদের আদালতের সহযোগিতায় নিতে বলি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত আক্তারুল মিয়া সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply