1. admin@alokitopotrika.com : alokitopotrika_560 :
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ায় জাতীয় কবির ১২৭তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন হারাগাছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসার মতবিনিময় মহাস্থানে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধর, মোটরসাইকেল ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ দায়ের মামলা উঠাইয়া নিতে বাদীকে হুমকি, থানায় জিডি গাইবান্ধায় ‘জিওপি’ গণঅধিকার পরিষদ জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা  গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিনদিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত ময়লারঘর যেন মাদক সেবীদের আখড়ায় পরিণত আখাউড়ায় ১০১ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও পরোয়ানাভুক্ত আসামী সহ গ্রেফতার ৯ কাউনিয়ায় হাট বাজার গুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারে উদ্যোগ নেই নওগাঁর আত্রাইয়ে তিন দিনব্যাপি ভূমি মেলার শুভ উদ্বোধন করেন ইউএনও কামাল হোসেন

রংপুরে নদ-নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৪১ বার পাঠ করা হয়েছে

তানভীর সোহেল,আঞ্চলিক প্রতিনিধি,রংপুর
রংপুরের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে পাম্প ও ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি বা টপসয়েল কাটাকাটি এবং পার্শ্ববর্তী জমির ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে কঠোরভাবে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন নদ-নদী হতে প্রায়ই পাম্প ও ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি বা টপসয়েল কাটার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, যা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। উক্ত আইনের ৫(১) ধারায় বর্ণিত রয়েছে যে, “পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না।” এ ছাড়া উক্ত আইনের ৭(ক) ধারা অনুযায়ী-ক) উর্বর কৃষি জমির মাটি কাটা যাবে না; খ) বাণিজ্যিক উদ্দেশে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না; গ) কৃষি জমির উর্বর উপরিভাগের মাটি বিনষ্ট করা যাবে না; ঘ) পরিবেশ, প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধন করা যাবে না; ঙ) ড্রেজারের মাধ্যমে বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না, যাতে উক্ত জমিসহ পার্শ্ববর্তী অন্য জমির ক্ষতি হয় বা ধসের উদ্ভব হয়।গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের অনূর্ধ্ব দুই বছর কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা হতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। জেলা প্রশাসন, রংপুর উক্ত বিষয়ে কঠোরভাবে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায়, রংপুর জেলার সব জনসাধারণকে নদী, পরিবেশ, প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষা ও কৃষি জমির সুরক্ষার স্বার্থে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০’ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।এদিকে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পরিবেশ আন্দোলনে থাকা সংগঠকরা।বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক ও নদী গবেষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বালু উত্তোলন, নদীর দখল-দূষণসহ নদ-নদীর যেকোনো রকম ক্ষতির বিষয়ে রংপুর বিভাগে যত জেলায় আমরা প্রতিকার চেয়েছি, সেটি পেয়েছি। রংপুর জেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা আশা করছি, বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ পরিবেশ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে এবং আইনের প্রয়োগ করবে।তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ের মতো অভিযানের নামে যেন ‘আইওয়াশ’, না হয়। সত্যিকার অর্থে প্রশাসন যদি চায় তাহলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব হবে। জেলা-উপজেলা প্রশাসনের এসব অবৈধ কাজ বন্ধ করা কঠিন কোনো বিষয়ই নয়। কিন্তু এর জন্য সদিচ্ছা জরুরি। নদী সুরক্ষার বিষয়ে আমরা রংপুর জেলা প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে দেখতে চাই।উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ ছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা বা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ। কিন্তু তা না মেনে এলাকার প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।এ আইন অমান্য করে রংপুরের তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া, যমুনেশ্বরী, বুড়াইলসহ অসংখ্য ছোট বড় নদ-নদী থেকে বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ীরা। যেন বালু ব্যবসায়ীদের স্বঘোষিত বালুমহালে পরিণত হয়েছে একেকটি নদ-নদীর পেট। যদি রংপুরে একটি মাত্র বৈধ বালুমহাল রয়েছে। যা জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। বাকি সবই অবৈধ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024