নাহিদ হাসান, জলঢাকা প্রতিনিধি
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কালিরডাঙ্গা গ্রামে কোনো রকমে টিনের ছাউনি দিয়ে মানুষের জমিতে ঠাঁই নিয়েছেন সুফিয়া বেগম। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৬ বছর আগে। তখন দুই মেয়েকে নিয়ে শুরু হয় তার সংগ্রামী জীবন। মেয়েদের বিয়ে দিলেও দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি। ছোট মেয়ে ও তার স্বামী হঠাৎ মারা গেলে তিনটি নাতি-নাতনি তার কাছে আশ্রয় নেয়। এর কয়েক বছর পর বড় জামাইও মারা যান। ফলে এখন দুই মেয়ে ও পাঁচ নাতি-নাতনিকে নিয়ে চলছে সুফিয়ার সংসার—যার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন একাই।রাস্তার পাশের ঝোপঝাড়, খোলা মাঠ আর পুকুর পাড় ঘেঁষে বেড়ে ওঠা শাকই এখন জীবিকার একমাত্র সম্বল। সেগুলো আঁটি বেঁধে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে জলঢাকা বাজারে বিক্রি করেন সুফিয়া বেগম।শীত কিংবা বর্ষা—কোনো মৌসুমেই স্বস্তি নেই। নড়বড়ে টিনের ছাপড়ায় ঠাঁই নেওয়া এই পরিবার বৃষ্টির দিনে জল থৈ থৈ ঘরে, আর শীতের রাতে হাড় কাঁপানো কষ্টে দিন পার করে। ঘরে নেই বিদ্যুৎ, নেই শৌচাগারের সুবিধাও। সুফিয়া বেগম বলেন, “শুকনো মৌসুমে কোনোমতে চলে, কিন্তু বর্ষা বা শীতে এই ঘরে থাকা দায় হয়ে যায়। কোনো উপায় নেই, থাকতে হয়।শুধু একটি সরকারি ঘর পেলেই হয়তো বাকি জীবনের একটু স্বস্তি মিলত এই বিধবা নারীর। সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারের সহানুভূতিশীল দৃষ্টিই পারে সুফিয়া বেগমের জীবনের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে।
Leave a Reply