সুচন্দন সরকার (চন্দন) শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি
বগুড়া, ২৬ মে বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণ সোমবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাবেক অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।ঘটনার সূত্রপাত:প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয়ের তহবিল তছরুপ ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনের সঙ্গে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার দুপুরে মোতাহার হোসেন বেশ কয়েকজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আকস্মিকভাবে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল জোরপূর্বক অধ্যক্ষের কার্যালয়ের দখল নেওয়া।শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ ও অগ্নিসংযোগ:সাবেক অধ্যক্ষের এই বেপরোয়া আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা তাৎক্ষণিকভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মোতাহার হোসেন ও তার সঙ্গীদের পথ অবরোধ করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শিক্ষার্থীরা সাবেক অধ্যক্ষের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সাথে তারা বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মোতাহার হোসেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।পুলিশের হস্তক্ষেপ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ:খবর পেয়ে শাহজাহানপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। দীর্ঘ চেষ্টার পর পুলিশ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করে এবং সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে মোতাহার হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।বর্তমান পরিস্থিতি:বর্তমানে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা সাবেক অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ:বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, তারা এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শাহজাহানপুর থানা পুলিশও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুতই এই ঘটনার পেছনের মূল কারণ উদ্ঘাটন হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply