মোঃ সোহানুর রহমান সিয়াম,শিবগঞ্জ(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুল ইসলামকে মারধর ও তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়েরই এক ছাত্র ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (২৪ মে) রাতে শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।ঘটনার সূত্রপাত ১৫ তারিখ দুপুরে, যখন স্কুল মার্কেটের দ্বিতীয় তলার মিরাজ স্টুডিওর পাশের সিঁড়িতে দুইজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন দশম শ্রেণির ছাত্র রিদয়। বিষয়টি প্রথমে লক্ষ্য করেন মিরাজ স্টুডিওর মালিক আতাউর রহমান। তিনি বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী শিক্ষক খায়রুল ইসলামসহ আরও চার শিক্ষক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রকে বাধা দেন।তবে এতে রিদয় ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং উপস্থিত শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও খায়রুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার পরপরই স্কুল ছুটি হলে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষক খায়রুল ইসলামকে আবারও শীলাদেবীর ঘাট নামক স্থানে মোটরসাইকেল থামিয়ে বহিরাগত ৫-৬ জন মিলে মারধর করে এবং তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা ও ফাঁসিতলা এন.বি.আর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পারভেজ ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় খায়রুল ইসলামকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে শিক্ষক খায়রুল ইসলাম ওইদিন রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।সহকারী শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, “একজন শিক্ষকের ওপর হামলা মানে গোটা শিক্ষক সমাজের ওপর হামলা। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আমি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হবো।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের শিক্ষককে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহীন বলেন, “এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply