শহিদুজ্জামান বাবু, খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিএনপিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যোগদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার বিকেলে শৈলকুপা চৌরাস্তার মোড়ে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ৯ নং মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ফেসটুন প্লাকার্ড ও ব্যানার হাতে রাস্তার দুধারে হাজার হাজার জনতা সারিবদ্ধভাবে হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়ে যায়।মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ দেশবাসীকে জানাতে চাই, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর, কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী কোন আওয়ামী লীগকে বিএনপিতে যোগদান করানো যাবে না।
শৈলকুপা বিএনপির অভিভাবক এডভোকেট আসাদুজ্জামান একই নির্দেশনা বার বার দিয়ে যাচ্ছেন।
তাকে পাশ কাটিয়ে কতিপয় বিএনপি নেতা অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী ক্যাডার দামুকদিয়া গ্রামের বকুল মোল্লাদের মত লোকদের জেলা যুবদলের সদস্য আবু জাহিদ চৌধুরী ব্যক্তি স্বার্থে দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করে স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তারে বিএনপিতে যোগদান করাচ্ছে। দামুকদিয়া গ্রামের উকিল মৃধা হত্যার প্রধান আসামী এই বকুল মোল্লা। এছাড়াও ১৯৯৪-৯৫ সালে আওয়ামীলীগের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী আদায়ের আন্দোলনের নামে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী ও থানা বিএনপির বর্তমান সভাপতি আবুল হোসেন বিশ্বাসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর এবং লুটপাট করে।
১৯৯৮ সালে ৯ নং মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময়, বর্তমান থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন বিশ্বাস। তখন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ইউনিয়ন নির্বাচন করার অপরাধে তাকে দামুকদিয়া গ্রাম থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে এবং ছুরিকাঘাত করে এই আওয়ামীলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী বকুল মোল্লা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পুনরায় বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ৯ নং মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মামলা, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, চাদাবাজী, বাড়ীছাড়া করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকে।
তার মত একজন চিহ্নিত ক্যাডার ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী গত ৯ মে ২০২৫ তারিখে রাতের অন্ধকারে কিভাবে বিএনপিতে যোগদান করেছে। কারা তাকে কত টাকার বিনিময়ে বিএনপিতে যোগদান করালো। আমরা ইউনিয়নবাসী সেটা জানতে চাই। যে সন্ত্রাসী নিজ হাতে উকিল মৃধা নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলো। মামলার বাদিকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাড়িছাড়া করেছে। তার মত লোক যদি বিএনপিতে যোগদান করে তাহলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক।অনুপ্রবেশকারীদের অত্যাচারে উপজেলাব্যাপী প্রকৃত বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর জুলুম এবং নির্যাতন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এটা দলীয় নির্দেশনা অবমাননা বলে মনে করি। এরই প্রতিবাদে ৯ নং মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আজকের এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।আওয়ামী সন্ত্রাসী, হত্যা মামলার আসামী, মনোহরপুর ইউনিয়নের দামুকদিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা বকুল মোল্লাকে গ্রেফতার ও আশ্রয় দাতাদের বিচারের দাবী জানান বক্তারা।
Leave a Reply