1. admin@alokitopotrika.com : alokitopotrika_560 :
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কাউনিয়ায় কলা গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা বড়ভিটা এইউ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ঈর্ষণীয় সাফল্য: দাখিলে জিপিএ-৫ পেলেন ৫ জন ভেড়ামারায় সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ গ্রেপ্তার রংপুরে আদিবাসী স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্কুল  ড্রেস ও দেশি পেয়ারা ফলের চারা বিতরণ পীরগাছায় বাস পুকুরে পড়ে নিহত ৩, আহত ৫০ মিঠাপুকুরে ছড়ান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্প ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কাউনিয়া প্রেসক্লাবের সাথে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বিতর্কিত ইউএনও শেখ রাসেল পীরগাছায় বদলি, উঠছে নানা প্রশ্ন সার্চ মানবাধিকার সোসাইটি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত থানা ভাঙচুর ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় গ্রেফতার আরও ২

কাউনিয়ায় আলুর ফলন হলেও দাম ও সংরক্ষণ নিয়ে চরম বিপাকে কৃষক

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫০ বার পাঠ করা হয়েছে

জহির রায়হান,কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
আবহাওয়া অনুকূলে ও রোগবালাই কম হওয়ায় চলতি মৌসুমে রংপুরের কাউনিয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম ও সংরক্ষন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষক। আগাম আলুর দাম পেয়ে কৃষকের হাসি ফুটলেও বর্তমানে মৌসুমি আলু বিক্রি করতে গিয়ে দাম শুনে সেই হাসি মলিন হয়ে যাচ্ছে।সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে উপজেলায় আলু তোলার কাজ শেষের দিকে। বিভিন্ন হাট বাজারে বর্তমানে আলুর চাহিদা কমে গেছে। এ অবস্থায় হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করতে গিয়ে জায়গা না পেয়ে এক হিমাগার থেকে আরেক হিমাগারে ঘুরতে ঘুরতে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। অধিকাংশ আলুই সংরক্ষণের জায়গার অভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পাশের হিমাগার দুইটিতে আলু রাখতে ট্রাক, ভ্যান ও ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানবাহনে আলু নিয়ে দিনের পর দিন লাইনে দাড়িয়ে থেকেও আলু রাখতে নাপেরে ফিরে যাচ্ছেন। শুরুতে আগাম আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা ১০ থেকে ১২ টাকায় নেমে এসেছে। ফলে কৃষকরা চরম লোকসান গুনছেন। উৎপাদন খরচ বাড়ায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আসল না উঠায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। উপজেলার চর গনাই গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া জানান, তিনি এইবার তিস্তার চরে ১০০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন এবং বেশি দামে বীজ কিনে আলু চাষ করতে বিঘায় ৬০ থেকে ৬২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজার দরে এক বিঘা জমির আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কৃষক সোহরাব হোসেন জানান, কাউনিয়ায় যে পরিমান হিমাগার রয়েছে তাতে যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয় তার স্বল্প পরিমাণ সংরক্ষণ করা যায়। বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়রেছেন কৃষক। ফলে সংরক্ষণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। আরও হিমাগার স্থাপন করতে হবে। সেইসঙ্গে সনাতন পদ্ধতিতে সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের উদ্যোগ নিতে হবে। রাজিব গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে চার দিন ধরে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে হিমাগারে আলু রাখতে পারিনি পরে অন্য উপজেলায় গিয়ে আলু রেখেছি। এতে আমার গাড়ি ভারা অনেক বেশী পরেছে। কৃষক তোফাজ জানান হিমাগারে আলু রাখার উদ্দেশ্য হলো, এখন বাজারে দাম নেই। এই আলু বীজ হিসেবে আগামীতে রোপণ করবো। তবে সংরক্ষণের জন্য আরও হিমাগার দরকার। দায়িত্বশীলদের বিষয়টি দেখা উচিত। কৃষকদের সরকারের প্রনোদনা দেয়া উচিত, তানাহলে আগামীতে আলু চাষ কমে যাবে এবং ভোক্তারা বিপাকে পড়বে। আলু উৎপাদন বেশী হওয়ায় হিমাগার গুলো ভাড়া বৃদ্ধির করে কৃষকদের সংকটে ফেলেছেন। মহুবার রহমান কোল্ড স্টোরেজের হিসাবরক্ষক বলেন, এবার আলু চাষ বেশি হওয়ায় সব কোল্ড স্টোরেজে চাপ বেশি। আগে এমন চাপ ছিল না। এর মূল কারণ বাজারে দাম কম। কৃষকরা লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে সংরক্ষণ করতে চাচ্ছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে আলু সংরক্ষনের জন্য কৃষি বিভাগের কোন উদ্যোগ নেই। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৫হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হলেও অনেক বেশী জমিতে চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১লাখ ৬৭হাজার ৩শ ৩৩ মেট্রিকটন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024