দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বিএনপির দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার পাকেরহাট শাপলা চত্ত্বরের সামনে আহতদের পরিবার বর্গ ও এলাকাবাসীর আয়োজিত ব্যানারে মানববন্ধন করেছে দিনাজপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্নেল (অব:) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে।অন্যদিকে দুপুর ১২টায় একই জায়গায় উপজেলা বিএনপির ব্যানারে দিনাজপুর-৪ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়ার পক্ষে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছেন উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আমিনুল হক বিএসসি চৌধুরী ও যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আলম তুহিনের নেতৃত্বে।এসময় কর্নেল (অব:) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আজকে অনেক কষ্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইফতার মাহফিলের করার নির্দেশনা দিয়েছেন। খানসামায় ৬টি ইউনিয়নে দোয়া ও ইফতার মাহফিল শেষে চিরিরবন্দর উপজেলায় ৬ নং ৯ নং ১০ নং ইউনিয়নে ইফতার মাহফিলের আয়োজন ছিল গত ১৪ তারিখে। এই ইফতার মাহফিলের আয়োজনকারী ছিল চিরিববন্দর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আফজাল হোসেন চৌধুরী।উনি যখন তারাবির নামাজ শেষে দাওয়াতি কার্যক্রম শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তার উপরে লাঠিচার্জ করে।আহত অবস্থায় তিনি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।আমরা বিগত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি হাজার হাজার মানুষের প্রাণের আমরা চেয়েছিলাম একটি গণতন্ত্র সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের দীর্ঘ সংগ্রামের পরে আমরা আমাদের কাঙ্খিত সংগ্রামে পৌঁছাতে পেরেছি।জানা গেছে, দিনাজপুর ৪ ( খানসামা – চিরিরবন্দর) আসনে ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা ইফতার ও দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্নেল (অব:) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতাকর্মীরা চিরিরবন্দর উপজেলার ৬,৯, ও ১০ নং ইউনিয়নে বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে কেন্দ্র করে হামলা ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কর্নেল সমর্থকদের চারজন কর্মী আহত হন।সেই ঘটনার প্রতিবাদে আহতদের পরিবার বর্গ ও এলাকাবাসী মানববন্ধনের ডাক দেন।অন্য দিকে,সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়ার নেতাকর্মীরা খানসামা উপজেলা বিএনপির সুসংগঠিত রাজনীতিতে দ্বিধা বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনঃর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকেন। দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আতংক ছড়িয়েছে পুরো উপজেলা জুড়ে।এসময় জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক রবিউল ইসলাম তুহিন বলেন,ঘোলা পানিতে একটি মহল মাছ শিকার করার চেষ্টা চলছে।খানসামা বিএনপির এক বিন্দু রক্ত থাকতে এই কাজ খানসামার মাটিতে আমরা কখনো করতে দিব না। আপনি দুইদিন আগে আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনি কি তুহিন সাহেব আমি বলি হুম আমি তুহিন। যে বিএনপির তুহিনকে চেনে না, বিএনপির আমিনুল হক বিএসসিকে চিনো না, যে মোহাম্মদ আলী সরকার ইউনিয়নের সভাপতিকে চিনেনা, বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে সে কি পরিচয় দিতে চায়! সে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্টদের সাথে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আমাদের বিএনপিকে রক্ষা করতে হবে।পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ফলে পাকেরহাট বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রাখেন,ব্যবসায়ীরা।আখতারুজ্জামান মিয়ার সমাবেশ চলাকালে কয়েকজন কর্মী তাদের ফেসবুক লাইভে পার্টি অফিস ভাংচুর চিত্র তুলে ধরেন। তবে সেই ভিডিও চিত্রে কে বা কাহারা হামলা করেছেন,তা দেখা যায়নি।অফিস ভাংচুরের বিষয়ে উপজেলার বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের ফোন দিলেও কেউ সারা দেননি।
Leave a Reply