1. admin@alokitopotrika.com : alokitopotrika_560 :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বুড়িমারী স্থলবন্দর এখনো পর্যন্ত ফ্যাসিস মুক্ত হয় নি বলে এবি পার্টির বিক্ষোভ মিছিল অবস্থান কর্মসূচি ও সংবাদ সম্মেলন শিবগঞ্জে শ্বশুরের কুৎসিত রূপ: পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক, দিলেন বিভিন্ন অনুদান নওগাঁর রাণীনগরে আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ কিশোরগঞ্জে সরকারি খাস জমির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ আত্রাইয়ে আইনজীবী ভাতিজা কর্তৃক জমি আত্মসাতের চেষ্টার প্রতিবাদে প্রতিবন্ধী চাচার সংবাদ সম্মেলন কাউনিয়ায় বিসিডিএসের মানববন্ধন লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দেড় যুগ পর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত গাইবান্ধার আইন ফুলছড়িতে শৃংখলা কমিটির সভা শেষে ৬ ইউপি চেয়ারম্যান আটক প্রবাসীর ভালোবাসায় মানবিক উদ্যোগ—গাবতলীর দক্ষিণপাড়ায় দুস্থদের মাঝে টিন বিতরণ

কাউনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে কাউনের চাষ

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৫ বার পাঠ করা হয়েছে

জহির রায়হান,কাউনিয়া(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
কাউনের ব্যাপক চাষের কারনে এই উপজেলার নাম কাউনিয়া হয়েছে। কাউন থেকে কাউনিয়া। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় এক সময়ে ব্যাপক কাউনের চাষ হতো। ছোট দানা বিশিষ্ট শস্যটি এ দেশে গরীবদের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। কৃষি বিভাগের উদাসিনতায় সেই কাউনিয়ায় এখন আর কাউনের তেমন চাষ হয় না। ফলে কাউনিয়ার নাম করনের সার্থকতা ও কাউন চাষের ঐতিহ্য দিন দিন হারাতে বসেছে।সরেজমিনে তিস্তানদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চলের গ্রাম ঘুরে বয়স্ক মানুষের কাছ থেকে জানাগেছে, এক সময়ে কাউনিয়ায় আনাচে কানাচে বিশেষ করে চরাঞ্চলে ব্যাপক কাউনের চাষ হতো। কাউন রংপুর আঞ্চলের মানুষের আথিতিয়তার বিশেষ স্থান করে নিয়েছিল। গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় পায়েস, ক্ষীর, মলা, বিস্কুট তৈরীর উপাদানে কাউনের চাউলের কদর ছিল ব্যাপক, তাই ভোজন প্রিয়াসী গৃহস্থরা ধান চাষের পাশা পাশি কাউনের চাষ করতেন। এ অঞ্চলের রাজা জমিদার বিত্তবানদের খাবার তালিকায় প্রসিদ্ধ কাউনের চালের পায়েস ও ক্ষীর সর্বাগে শীর্ষে ছিল। বর্তমানে কৃষি বিভাগের চরম উদাসিনতায় কালের আবর্তে কাউন চাষ হারিয়ে যাচ্ছে। সাধারন মানুষের রুটি রুজি ও সময়ের ক্রমাগত পরিবর্তন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে কাউনের চাষকে পেছনে ফেলে নিয়ে এসেছে বছরে ৩-৪ ফসলি উৎপাদন, ফলে দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে কাউন চাষ। উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে দেখাগেছে হাতে গোনা দু-একটি কাউনের ক্ষেত। কিছু সৌখিন চাষি তিস্তার চরের পতিত জমিতে কাউনের চাষ করেছেন। ঢুসমারা চরের কৃষক তাজুল ইসলাম জানান তিনি চলতি মৌসুমে ২০শতক জমিতে কাউনের চাষ করেছেন, একই চরের মফিজুল হোসেন জানান, তিনি ৩৫শতক জমিতে চাষ করে সারে ৭মন কাউন পেয়েছেন। কাউন চাষে তেমন কোন খরচ নেই, সেচ দিতে হয় না, কিটনাশক লাগে না। অল্প ইউরিয়া সার দিলেই হয়। কাউনের বাম্পার ফলন হলেও সঠিক বাজার ব্যাবস্থাপনা না থাকায় চাষিরা কাউন চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় কাউনের তেমন চাষ না হওয়ায় এর চাষের সঠিক পরিসংখ্যান নাই। কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া আকতার জানান প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাউনের চাষ করা যায়। তবে পানি দাঁড়ায় না এমন বেলে দোঁআশ মাটিতে এর ফলন ভাল হয়। কাউনের শীষ খড়ের রং ধারন করলে এবং বীজ দাঁতে কাটার পর কট করে শব্দ হলে বুঝতে হবে কাটার উপযুক্ত সময় হয়। এলাকাবাসীর দাবী কাউনিয়ার ঐতিহ্য কাউন, এ কাউন চাষ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগ এর উদ্যোগসহ সরকারের প্রনদনা দেওয়া প্রয়োজন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024