রাসেল আহম্মেদ,স্টাফ রিপোর্ট:- শেরপুর থানার পুলিশের তৎপর অভিযানে চুরি যাওয়া একটি পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ রফিক (৪৫) গ্রেফতার হয়েছে। ধৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণ: শেরপুর থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০৩/২০২৫ খ্রিঃ, জিআর নং-৫১/২৫, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড-১৮৬০ অনুযায়ী, মামলার বাদী ৩ মার্চ ভোর ৬টা নাগাদ শেরপুর পৌরসভার কোর্টপাড়া এলাকার আহলে হাদিস মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যান। মসজিদের মেইন গেটের সামনে তার ব্যবহৃত পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল (রেজিঃ নং-বগুড়া-ল-১৩-৫৪৬৪, মূল্য ১,৭৮,৯৯৯/- টাকা) রেখে নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে ৬টা ৩০ মিনিটে ফিরে এসে তিনি দেখেন, তার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে গেছে।
অভিযান ও গ্রেফতার: শেরপুর থানার এসআই (নিঃ) মোঃ মইনুল ইসলাম মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালান। ৪ মার্চ রাত ১টা ১৫ মিনিটে শেরপুর থানার ধুনট মোড় সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলসহ মোঃ রফিককে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। ধৃত রফিক কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার কলাতলী (গলবাড়ী) এলাকার বাসিন্দা।
ধৃত আসামির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড:
তদন্তকালে জানা যায়, রফিক আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ১. গুলশান থানা, ঢাকা (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮) ২. গাছা থানা, গাজীপুর (জুয়া আইন, ১৮৬৭) ৩. টঙ্গী পূর্ব থানা, গাজীপুর (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন) ৪. সদর থানা, গাজীপুর (ডাকাতি)
৫. ভাষানটেক থানা, ঢাকা (ডাকাতির প্রস্তুতি)
৬. ভাষানটেক থানা, ঢাকা (বিস্ফোরক দ্রব্য আইন)
৭. কাফরুল থানা, ঢাকা (ডাকাতি)
৮. করিমগঞ্জ থানা, কিশোরগঞ্জ (মোটরসাইকেল চুরি)
৯. চৌদ্দগ্রাম থানা, কুমিল্লা (চুরি ও হুমকি)
১০. কাশিমপুর থানা, গাজীপুর (অপরাধের মালামাল গোপন)
উল্লেখ্য, ধৃত রফিকের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
পরবর্তী ব্যবস্থা: শেরপুর থানা পুলিশ জানায়, ধৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ বিশ্বাস করে, এই চক্রের বাকি সদস্যদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলে মোটরসাইকেল চুরির মতো অপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
Leave a Reply