লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ,স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইং২৪/১২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মৃত মোছাঃ শারমিন বেগম প্রকাশ হরমুজা(৪৮) এর স্বামী প্রতিদিনের ন্যায় কুলা বিক্রির জন্য ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সকাল অনুমান ০৬.২০ ঘটিকার সময় খুনি ফারহান ভূঁইয়া প্রকাশ রনি ভিকটিম মৃত মোছাঃ শারমিন বেগম প্রকাশ হরমুজা এর বাড়ীতে গিয়ে তাকে ডেকে বলে যে, তার বাবা অসুস্থ তার বাড়িতে যেতে অনুরোধ করে। পরবর্তীতে সকাল অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় আখাউড়া থানাধীন ৫নং আখাউড়া দক্ষিণ ইউপিস্থ, রহিমপুর পূর্বপাড়া সাকিনে পরিত্যক্ত অর্ধ ভাঙ্গা বেড়া বিহীন ঘরের দোচালা টিনের চালের নিচে আসিলে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে এবং ছুরি দিয়ে গলা সম্পূর্ন আলাদা করে, এরপর খুনির বাড়ির অনুমান ৩০০ গজ দূরে পুকুরের দক্ষিণ পাশের জমিতে মাটিতে গর্ত করে ভিকটিমের কাটা মাথা সেখানে পুতে রাখে। মাথা বিহীন শরীরের বাকি অংশে কম্বল পেঁচাইয়া আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিত্যক্ত ঘরের ভিতরে আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) জনাব শাহীনূর ইসলাম, এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুল আলীম, এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ বাবুল মিয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান যে, হাত, পা পোড়া, মাথা বিহীন একটি মানুষের দেহ আগুনে পুড়ছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে দেখে যে, ভিকটিমের সম্পূর্ন দেহ পুড়ে আঙ্গরা হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় ফারহান ভূঁইয়া প্রকাশ রনি(২৭), পিতা-শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া, সাং-রহিমপুর পূর্বপাড়া(গাজীর বাজারের পূর্ব পাশে), থানা-আখাউড়া, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাকে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত মৃত মোছাঃ শারমিন বেগম প্রকাশ হরমুজা,বয়স আইডি কার্ড অনুযায়ী (৪৮), স্বামী-মোঃ নুরুল ইসলাম প্রকাশ নূর ইসলাম, সাং-হীরাপুর, ইউপি-আখাউড়া দক্ষিণ, থানা-আখাউড়া, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সে চাকু দিয়া গলা কেটে মাথা আলাদা করিয়া মৃত্যু নিশ্চিত করিয়া, কম্বল পেঁচিয়ে আগুন লাগিয়েছে মর্মে স্বীকার করে। থানা পুলিশ এলাকার লোকজনের সহায়তায় এবং খুনি ফারহান ভূঁইয়া প্রকাশ রনির দেখানো মতে জনৈক আশরাফ আলীর জমি থেকে মাটি খুড়ে দেহ বিহীন কাটা মাথা এবং পাশের পুকুর হইতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। এরপর উক্ত লাশটি লাশ শনাক্ত হইলে থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অজ্ঞাত কারণে নৃশংস ভাবে গলা কেটে হত্যা করে মাথা আলাদা করে মাটিতে পুতে দিয়ে ও শরীরের অংশ সম্পূর্ন পুড়িয়ে দিয়ে আলামত গোপন করার বিষয়ে ভিকটিমের বড় মেয়ে রুমা আক্তার(৩৫), পিতা-মোঃ নুরুল ইসলাম প্রকাশ নূর ইসলাম, স্বামী-রতন মিয়া, সাং-হীরাপুর, ইউপি-আখাউড়া দক্ষিণ, থানা-আখাউড়া, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বর্তমানে সাং-মধ্যপাড়া, থানা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় আসিয়া লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করিলে অফিসার ইনচার্জ, আখাউড়া থানা একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।
আখাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ ছমিউদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে অদ্যই বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইবে।
Leave a Reply