শাহ্ পারভেজ সংগ্রাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি
হেমন্তের শেষে এসে শীত পড়তে শুরু করেছে। আর শীতে পিঠা হবে না তা ভাবাই যায় না।বিশেষ করে বিভিন্ন এলাকায় পিঠা বিক্রি শুরু করেন অনেকে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। চিতই-ভাপাসহ নানা পদের পিঠা বিক্রি হয়। গাইবান্ধা শহরেও এর ব্যতিক্রম দেখা যায়নি।
শহরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের বাহারি সব পিঠাপুলি নজর কাড়ছে। পড়ন্ত বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা হয়ে বেশ রাত পর্যন্ত বিক্রির ধুম পড়ে। সন্ধ্যার পর থেকেই অলিগলি ও রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে দাঁড়িয়ে বা বসে লাইন দিয়ে পিঠা খেতে দেখা যায়।দোকানিরা ফুটপাতে মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কোরোসিনের চুলা নিয়ে বসে যান। এসব দোকানে চিতই পিঠা, মেরা পিঠা (চোয়াপিঠা)তবে এ শীতে চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশি।ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী খেজুরের গুড়, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঁপা পিঠা তৈরি করে দেওয়া হয়। এছাড়া চিতই পিঠার সম্পর্কে ক্রেতাদেরকে সরিষার ভর্তা ও শুটকির ভর্তা দেওয়া হচ্ছে। গরম গরম পিঠা পেয়ে ক্রেতারাও দারুন খুশি। প্রতিটি বড় ভাঁপা পিঠা ১৫ টাকা ও প্রতিটি ছোট ভাঁপা পিঠা ১০ টাকা ও চিতল পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি বড় সাইজের চিতই পিঠা ১০ টাকা এবং ছোট সাইজের চিতই পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করা হয়।শীত মৌসুমে বাড়িতে পিঠাপুলি বানানোর আয়োজন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ঘরে ঘরে পিঠাপুলির আয়োজন এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় নিজ হাতে পিঠা তৈরির আয়োজন কমে গেলেও পিঠাপ্রীতি ও ভোজন থেমে নেই। মানুষ এখন দোকানের পিঠার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
Leave a Reply