আওলাদ মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নিহত শহিদ সাজ্জাদের রক্তের বিনিময়ে আমি দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। মুক্ত বাতাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছি। নির্বিঘ্নে চলতে পারছি পথ। এখন আর গ্রেফতার আতংক নিয়ে নিঘুর্ম রাত কাটাতে হয় না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারলে শহিদ সাজ্জাদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে পারবো। উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বাড়াইশাল পাড়া গ্রামের মাঝাপাড়ায় শনিবার দুপুরে শহীদ সাজ্জাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে উল্লেখিত কথাগুলো বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা দেশবরেণ্য সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন। সহযোগীদেরও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।এদিন বেবী নাজনীনের সফরসঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. ওবায়দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ পারভেজ লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, হাফিজ খান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর তারিক আজিজ, সদস্য সচিব পারভেজ আলম( গুড্ডু) জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা অধ্যক্ষ রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।শহিদ সাজ্জাদের পরিবারের হাতে এদিন বেবী নাজনীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পরে সেখান থেকে তিনি পৈত্রিক বাড়ি শহরের নিয়ামতপুর সরকারপাড়ায় যান। সেখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দাদা দাদীর কবর জিয়ারত করেন,ঢাকা থেকে বিমানযোগে সকাল ১১.২০ মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দর চত্বরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বিমানবন্দর চত্বরেই তিনি প্রেস ব্রিফিং করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সময় তিনি বলেন, নিজ মাতৃভূমি তথা উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য আগামী দিনে কাজ করতে চাইছি। সৃষ্টি করতে চাইছি নতুন নতুন কর্মসংস্থান। যাতে অবহেলিত উত্তরাঞ্চল আর্থিকভাবে এগিয়ে যায়।
Leave a Reply